সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তানজিন তিশার পক্ষ থেকে বিস্তারিত বিবৃতি পুরুষ বাউলরা বিছানায় ডাকে, সাড়া দিলে গান পাওয়া যায়: নারী বাউল শিল্পীর অভিযোগ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় টিকটকার ববি গ্রেভস নায়িকা পপি’কে আইনি নোটিশ পাঠানো হলো ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর প্রথমবার মুখ খুললেন হেমা মালিনী বিপিএলের আসন্ন মৌসুম শুরু হবে ১৯ ডিসেম্বর, ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জানুয়ারি বিপিএল নিলামে পাথিরানা, চার্লস ও মেন্ডিসসহ ২৫০ বিদেশি ক্রিকেটার বিপিএলের নিলামে ৩ ভারতীয়, সুইডেনের এক ক্রিকেটার বিপিএল: নোয়াখালী এক্সপ্রেসে সৌম্য-হাসান, কোচ সুজন হৃদয়ের লড়াইয়ে মরিয়া বাংলাদেশের প্রতিরোধ, তবে শেষ হাসি আয়ারল্যান্ডের
থাইল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথমবার মুসলিম নারী মন্ত্রী নিযুক্ত

থাইল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথমবার মুসলিম নারী মন্ত্রী নিযুক্ত

থাই রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পালা বদল ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চানভিরাকুল তাঁর মন্ত্রিসভায় জুবাইদা থাইসেতকে সংস্কৃতি মন্ত্রীর পদে নিযুক্ত করেছেন। এটি ছিলো ইতিহাসের প্রথম নজির, যখন কোনো মুসলিম নারী সম্পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ পদোন্নতি দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য এক নতুন দিক নির্দেশ করছে।

প্রধানমন্ত্রী চানভিরাকুলের উদ্দেশ্য হলো একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মন্ত্রিসভা গঠন, যেখানে নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। জুবাইদা থাইসেত শিক্ষাজীবনে যুক্তরাজ্য ও থাইল্যান্ডের আসাম্পশন ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। এর আগে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার পিতা চাদা থাইসেত প্রাক্তন একজন মন্ত্রী ও প্রাদেশিক রাজনীতিবিদ, যার ধারাবাহিকতা চলমান। তাঁর এই নিয়োগ দক্ষিণ থাইল্যান্ডে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে চলমান সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এখন ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও নতুন প্রজন্মের সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরণের দ্বিগুণ দায়িত্ব গ্রহণ করছে। জুবাইদার আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অভিজ্ঞতা ব্যাবহার করে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, ভাষাগত সমৃদ্ধি এবং ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয় সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

অর্থনৈতিক দিক দিয়েও তার দক্ষতা শিল্প ও সাংস্কৃতিক অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য সহায়ক হবে, বিশেষ করে সাংস্কৃতিক পর্যটনকে প্রসারিত করতে। এই পদোন্নতি থাইল্যান্ডের মুসলিম নারী ও তরুণদের জন্য এক অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি জুবাইদা সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তবে ভবিষ্যতে নারীর রাজনীতি এবং প্রশাসনে অংশগ্রহণ আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। এটি সমাজে নারীর ভূমিকা বুঝতে ও গ্রহণে এক স্বাভাবিক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd